Tuesday, September 16, 2025

যে কারণে বিষ খাওয়ার হুমকি দিলেন নরেন্দ্র মোদি

আরও পড়ুন

ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, জনগণই তার প্রভু এবং ‌রিমোট কন্ট্রোল। আর তাদের সামনেই নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ করেন তিনি। নিজের ও তার প্রয়াত মা হীরাবেন মোদিকে নিশানা করে কটূক্তি নিয়ে চলমান বিতর্কের মাঝে ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‌‘‘আমি ভগবান শিবের ভক্ত এবং কটূক্তির বিষ গিলে ফেলবো।’’

দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় তিন রাজ্য মণিপুর, আসাম এবং বিহারে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বর্তমানে আসামে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার আসামের দারাং এলায় এক সমাবেশে অংশ নিয়ে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তিনি।

সমাবেশে মোদি বলেন, ‘‘আমি জানি, কংগ্রেসের পুরো ইকোসিস্টেম আমাকে নিশানা করবে এবং বলবে, মোদি আবারও কাঁদছে। জনগণই আমার ভগবান। যদি আমি তাদের সামনে আমার কষ্টের কথা না বলি, তবে কোথায় বলব? তারাই আমার প্রভু, আমার দেবতা এবং আমার রিমোট কন্ট্রোল। আমার অন্য কোনও রিমোট কন্ট্রোল নেই।’’

আরও পড়ুনঃ  নারীর আবেগে রাজনীতি, মোদির সিঁদুর কৌশলে সরব সুনায়না চৌটালা

বিহারের আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার সময় আরজেডি-কংগ্রেসের এক যৌথ মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছিল। এ নিয়ে কংগ্রেসকে বারবার আক্রমণ করছেন মোদি। কংগ্রেস দাবি করেছে, ওই সময় তাদের কোনও নেতা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না। এরপর নরেন্দ্র মোদির মাকে নিয়ে এআই দিয়ে কংগ্রেসের তৈরি করা ভিডিও ঘিরেও দেশটিতে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ‘রিমোট কন্ট্রোল’ প্রসঙ্গটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে সাবেক ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর সমালোচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি এই ‘রিমোট কন্ট্রোল’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলকে স্বীকৃতিতে প্রস্তুত সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ, তবে…

মোদি অভিযোগ করে বলেছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও গান্ধী পরিবার রিমোট কন্ট্রোলের মতো পরিচালনা করছে। যদিও কংগ্রেস বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাকে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের একটি মন্তব্য দেখিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার আসামের কিংবদন্তি গায়ক ভূপেন হাজারিকাকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ওই মন্তব্য করা হয়েছিল।

ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যেদিন ভারত সরকার দেশের এই মহান সন্তান এবং আসামের গর্ব ভূপেন হাজারিকাকে ভারতরত্নে ভূষিত করল, কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, মোদি গায়ক এবং নৃত্যশিল্পীদের পুরস্কার দিচ্ছেন।

২০১৯ সালে এই মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন খাড়গে। পরে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ড. হাজারিকা আমাদের দেশের অন্যতম প্রতিভাবান শিল্পী ছিলেন। সঙ্গীত, কবিতা, সাহিত্য এবং সিনেমা—সবক্ষেত্রেই তার অসাধারণ প্রতিভা ছিল। তার অবদান আসামের সংস্কৃতি ও শিল্পকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  আবারো ভারতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের বৈঠকের খবর নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পর দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, উত্তর-পূর্বের মানুষের ক্ষত এখনও সারেনি। মোদির দাবি, বর্তমান কংগ্রেস প্রজন্ম সেই ক্ষতের ওপর লবণ ছিটিয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, দশকের পর দশক ধরে আসাম শাসন করেছে কংগ্রেস। ক্ষমতায় থাকার পরও কংগ্রেস বিগত ৬০-৬৫ বছরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর মাত্র তিনটি সেতু তৈরি করেছে। অথচ, আপনারা যখন আমাদের সুযোগ দিলেন, আমরা মাত্র এক দশকে ছয়টি নতুন সেতু তৈরি করেছি। স্বাভাবিকভাবেই আপনারা আমাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেবেন এবং আশীর্বাদ করবেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ